একটি থ্রিজি গল্প
প্রেক্ষাপটঃ থ্রিজির নিলাম শেষ, যে যার ক্ষমতা অনুযায়ী থ্রিজি লাইসেন্স কিনছে। এইবার বিজ্ঞাপন আর প্রচারনার পালা।
রবির অফিস,
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, লাইসেন্স তো পেয়ে গেলাম। এইবার কাজে নামতে হবে।
শীর্ষ কর্মকর্তাঃ হুম।
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, টেলিটক আমাদের আগে আসছে বটে, কিন্তু আমরা বাকিদের উড়ায়ে দিবো।
শীর্ষ কর্মকর্তাঃ কিভাবে?
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, সবাই আনতেছে থ্রিজি। আমরা ৩.৫ জি আনবো।
শীর্ষ কর্মকর্তাঃ ৩.৫ জির ডাউনলোড স্পিড ১৪ এমবির বেশি, ৫ গিগাহার্জে আমরা এই স্পিড দিতে পারবো? মাথা খারাপ হইছে?
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, ক্ষেপতেছেন কেন? এইটা বাংলাদেশ, ভুললে চলবে? এইখানে মানুষ ব্রান্ডের নাম আগে দেখে, ৩জি থেকে ৩.৫ জি শুনলেই পাবলিক দৌড়ে আইসা খাবে। স্পিড ম্যাটার করে না।
পরের দিন রবি ৩.৫ জি আনতেছে ঘোষনা দিলো।
এয়ারটেলের অফিস,
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, রবি শুনলাম ৩.৫ জি আনতেছে।
স্যারঃ স্পিড দিতেছে কতো?
এক্সিকিউটিভঃ জ্বী স্যার, শুনলাম ১ এম বি দেবে।
স্যারঃ তো লাভ কি হলো?
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, ব্র্যান্ড নেমের জন্য দিছে। আমাদরও কিছু দেওয়া উচিৎ?
স্যারঃ কি দিবা? আনলিমিটেড স্পিড?
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, এইটা ভারত না, বাংলাদেশ। আনলিমিটেড পাইলে পুলাপাইন মুভি নামায়া বিটিএস এর ১২ টা বাজায়ে দিবে। অন্য কিছু দিতে হবে।
স্যারঃ যেমন?
এক্সিকিউটিভঃ ৩.৭ জি স্যার। শুনলে পাবলিক ভাববে নতুন জিনিস, বেশি স্পিড পাবে, গরু ছাগলের মতো কিনবে।
এয়ারটেল ৩.৭ জি নিয়া আইয়া পড়ছে।
জিপির অফিস,
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, রবি ৩.৫ জি আর এয়ারটেল ৩.৭ জি আনতেছে শুনলাম।
স্যারঃ তো? স্পিড তো দিবে মূল থ্রিজিরও কম।
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, সেইট্যা ম্যাটার না। আমরা সবচেয়ে বড় কোম্পানী, আমরা কিছু না দিলে কেমনে হবে?
স্যারঃ ত্তো কি, স্পিড বাড়াইতে কইতেছো?
এক্সিকিউটিভঃ ছি ছি ছি, কি যে বলেন স্যার। জিপি দেবে বেশি স্পিড, এইটা হইতে পারে? থ্রিজির একটু মডিফিকেশন আনতে হবে।
স্যারঃ থ্রিজির কোন স্পেসিফিকেশন খালি আছে?
এক্সিকিউটিভঃ স্যার, একটা খালি আছে, ৩.৯ জি।
স্যারঃ লাগায়া দাও।
পরের দিন জিপি ৩.৯ জি নিয়া আইয়া পড়লো। [ ইহা একটি নিছক রম্য রচনা, কোন বাস্তব কোম্পানী কিংবা ব্যাক্তিবর্গ কিংবা ঘটনার সাথে মিল থাকলে তা একান্তই কাকতালীয়। ইহার সাথে অরিত্র আহমেদ এর কোন সম্পর্ক নাই, অরিত্রর আহমেদ এখনো থ্রিজি পায়নাই। ]