এ পি জে আব্দুল কালাম এবং পারমানবিক বোমা
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে দুই পক্ষের যুদ্ধ লেগে রয়েছে। এপিজে আব্দুল কালাম লোকটা ভালো না খারাপ? উনি মানবজাতির উপকার করেছেন নাকি অপকার করেছেন? নানাজনে নানা মত, কেউ বলেছেন উনি মুসলিম না হলে এতো সম্মান পেতেন না। কেউ বলেছেন উনি আসলে বাংলাদেশের পানি মেরে দিয়ে বাংলাদেশকে শুকিয়ে মরুভূমি বানানোর কারিগর ছিলেন। কেউ আবার বলছেন বেটা পারমানবিক বোমা বানিয়েছে, এই বোমা দিয়ে ভারত সব উড়ায়ে দিবে। কষ্টটা লাগে যখন একজন ব্যাক্তি তার প্রাপ্য সম্মানটা পান না। ভাবলাম একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালাই, যদি কিছু মানুষের ভুল ভাঙ্গাতে পারি।
এ পি জে আব্দুল কালাম কে ছিলেন? বাকি সব পরিচয় এর আগে যে পরিচয়টা সবার জানা দরকার, উনি ছিলেন অসাধারণ একজন মানুষ। ভারতের ইতিহাসে খুব কম পলিটিশিয়ান আছেন যারা বিরোধী দলের কাছ থেকে অসামান্য সম্মান পেয়েছেন। উনার অসাধারণ লেখনীর ক্ষমতা ছিলো। উনার Wings Of Fire বইটা শুরু করেছিলাম ঈদের কয়েকদিন আগেই। শেষ করার পরের দিনই উনি মারা গেলেন। লেখনী কতোটা ক্ষমতাশালী হতে পারে, উইংস অব ফায়ার না পড়লে বোঝা অসম্ভব।
আব্দুল কালাম এর জীবনের যে অধ্যায়টা নিয়ে সবার প্রথমত সমস্যা সেটা হলো উনি ভারতের “মিসাইল ম্যান” হিসাবে পরিচিত। পোখরান-২ এর ডেভেলপমেন্ট ও টেস্টিং এর সাথে উনি ওতপ্রেত ভাবে জড়িত ছিলেন। ৩৮৪ কোটি রুপীর এই বিশাল প্রজেক্ট এর চীফ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালের Smiling Buddha’ র পর ভারতের দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার টেস্ট ছিল এটি। চারটি ফিসন এবং একটি ফিউশান বোমের সমন্বয়ে মোট ৫ টি টেস্ট ডেটনেশন করা হয়। বলা বলা বাহুল্য সব গুলোই সফল ছিল। মাঝের একটা লম্বা সময় বিশ্বের অনন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার সমৃদ্ধ দেশগুলো ভারত ও পাকিস্তান এর ওপরে নিউক্লিয়ার বোমা বা পাওয়ার প্লান্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ধরনের পার্টস এবং মেটেরিয়াল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতের নিউক্লিয়ার ওয়েপন প্রজেক্ট গুলো।
১৯৯৮ সালেও ভারত পোখরান – ২ এর টেস্ট গুলো করতে পারতো না, ৭৪ এর টেস্টের পরে জনগণের বিপুল রোষের মুখে পরেছিল ভারতের সরকার। আবার একই সমস্যার মুখে পরতে চায়নি তারা। আর এখানেই ছবির মধ্যে আসেন এ পি জে আব্দুল কালাম। চীফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উনার দ্বায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলো মিডিয়ার সাথে কথা বলা। উনি পারমানবিক বোমা কেন দরকার, এবং এখানে ভারতের কোন বিপদের আশংকা নেই কেন, ব্যাপারগুলো মিডিয়ার কাছে সহজভাবে উপস্থাপন করেন। উনার সাবলীল ব্যাখ্যা এবং জনগণের বোঝার মতো তরল ভাবে উপস্থাপিত তথ্য উনাকে শীঘ্রই ভারতের নিউক্লিয়ার ওয়েপন প্রজেক্টের চেহারা হিসাবে ভারতের মিডিয়ার কাছে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করে দেয়। ভারতের মিডিয়ার কাছে নিউক্লিয়ার যে কোন কিছুর ব্যাখ্যা মানেই আব্দুল কালাম। সেই সাথে অগ্নি ও পৃথিবী নামের ভারতের লঙ ডিসট্যান্স ওয়্যারহেড ক্যারিয়ার প্রজেক্টের সাথেও জড়িত ছিলেন উনি। সব কিছু মিলিয়েই মিডিয়া উনার নাম দেন “মিসাইল ম্যান”।
সহজ ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, যে ব্যাক্তি পারমানবিক বোমা বানিয়েছে, তাকে এতো প্রাধান্য দেওয়ার কি আছে? পারমানবিক বোমা দিয়ে তো হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, বছরের পর বছরের জন্য রেডিয়েশন ছড়িয়ে পরে আক্রান্ত জায়গায়। তাহলে এখানে এই ব্যাক্তিকে সম্মান এর যায়গায় বসানোর কারণটা কি? এটা বোঝার জন্য আগে আপনাকে জানতে হবে MAD Treaty র কথা। আমরা সহজভাবেই ধরে নেবো ট্রিটি মানে চুক্তি। কিন্তু ম্যাড ট্রিটি হল ইতিহাসের অলিখিত এবং অ-সাক্ষরিত এক চুক্তি, যা নিউক্লিয়ার ওয়েপন ওয়ালা সব দেশই মেনে চলে। কেন?
M A D = Mutually Assured Destruction বা সর্বসম্মতিক্রমে ঘটানো ধ্বংস। সহজ বাংলায়, যদি আপনার কাছে একটা গুলি থাকে, আমার কাছেও একটা গুলি থাকে, তাহলে আপনার মনে ভয় থাকবে আমাকে গুলি করার আগে যে আমিও পালটা গুলি করতে পারবো। যে সব দেশের কাছে পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে, তাদের কাছে এই অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ভূমিকা হল ডিফেন্স এর কাছে। আমেরিকা – রাশিয়া, দুইজনের কাছেই প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পারমানবিক অস্ত্র আছে। কোল্ড ওয়ার এর সময় যখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগে লাগে অবস্থা, তখন এই নিউক্লিয়ার অস্ত্রের হুমকিই দুই দেশকে একে অপরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রেখেছিলো। আমেরিকা নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড মারলে রাশিয়াও ছেড়ে দেবে না। দুইদেশই ধ্বংস হয়ে যাবে ফলশ্রুতিতে। আর পারমানবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞ মানে কমসে কম ১০০ বছরের জন্য আক্রান্ত যায়গার টাটা- বাই বাই । নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই দৌড়াচ্ছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার এর পেছনে। আর যখনই দুইটা শত্রু দেশের কাছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার আছে, তখন কেউ কাউকে খোঁচাবে না। কারণ একজন মারলে অপরজন ছেড়ে দেবে না। ফলে দুই পক্ষেরই ঝামেলা। তারচেয়ে বরং চুপচাপ থাকার ভালো।
আমেরিকা এবং রাশিয়ার একে ওপরের চুল নখ উপড়ে ফেলা থেকে ঠেকিয়ে রেখেছে এই ম্যাড ট্রিটি। ফলে ভিয়েতনাম যুদ্ধ, কোরিয়ান যুদ্ধ ইত্যাদি প্রক্সি যুদ্ধে একে অপরকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু নিজেদের নামে কখনোই কিছু করা হয়নি। ভারতের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা এমনই ছিল। ভারত পাকিস্তান উভয়েই দৌড়াচ্ছিলো নিউক্লিয়ার ওয়েপন এর দিকে। ভারত স্বাধীন হবার পর থেকেই নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড নিয়ে গবেষণা করছিলো, রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতার অভাবে আলোর মুখ দেখছিলো না। পাকিস্তানও বাংলাদেশের সাথে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে হেরে নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড ডেভেলপমেন্ট এর ওপর মনোযোগ দেয়। পাকিস্তান এর টার্গেট ছিল ১৯৭৬ এর মধ্যে নিউক্লিয়ার ওয়েপন এর অধিকারই হওয়া। এর আগেই ১৯৭৪ এর ১৮ই মে অনেক গোপনীয়তার সাথে ভারত স্মাইলিং বুদ্ধর মাধ্যমে জানান দেয় যে তারাও পিছিয়ে নেই বরং বেশ এগিয়েই আছে। ভারতের নিজের প্রয়োজনেই তাদের পারমানবিক অস্ত্র দরকার ছিল। যদি ভারতের আগে পাকিস্তান পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হতো, তবে প্রথম ওয়্যারহেড টা দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন এ পড়ার সমূহ সম্ভবনা ছিল। পাকিস্তানকে চেকে রাখতেই ভারতে পারমানবিক অস্ত্রের রেসে যোগ দেয়। এবং সেখানে সফলতার মুখ দেখার পেছনে একটা বড় অবদান ছিল ডক্টর অভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আব্দুল কালাম বা ডক্টর এ পি জে আব্দুল কালাম এর।
আমি মোটামুটি শিওর অনেকেই বলে বসতে পারেন তাহলে হিরোশিমা নাগাসাকিতে যে এতো মানুষ মারা গেলো, তার কি হবে? এখানে তো ম্যাড ট্রিটির কোন ইফেক্ট নেই ! এখানকার ঘটনা জানতে হলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে। বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছে, ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র সহায়ত্ব দিচ্ছিলো, অর্থ সহায়তা দিচ্ছিল, কিন্তু মূল যুদ্ধ থেকে দূরে ছিলো। ১৯৪১ সালের ৭ই নম্ভেম্বর, জাপানের রাজা হিরোহিতোর মাথায় কি ভুত ঢুকেছিল কে জানে, প্রায় ৪২০ টা বিমান এর এক বিশাল বহর পাঠায় সে হাওয়াই এর পার্ল হারবারে নোঙ্গর করে থাকা ইউ এস প্যাসিফিক ফ্লীট এর ওপর আক্রমণ করার জন্য। তার ধারনা ছিল এই আক্রমণের ফলে আমেরিকা যুদ্ধ অংশ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। ঠিক কি খেয়ে এই প্লান তাদের মাথায় এসেছিলো তারাই ভালো জানে, আমেরিকার পেছনে আঙ্গুল দিলে আমেরিকা চুপ করে বসে থাকবে, এই ধারনা তার কেন হয়েছিলো এটা সেই ভালো জানে ! আক্রমনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় আমেরিকান প্যাসিফিক ফ্লীট। জবাবে যুদ্ধ সরাসরি অংশগ্রহণ এর ঘোষণা দেয় আমেরিকা। যাই হোক, শেষে এসে জার্মানী ১৯৪৫ এর মে মাসে হার মেনে নেয় এবং শর্তহীন ভাবে আত্নসম্পর্ন করে। অন্যদিকে জাপান কিছুতেই শর্তহীন আত্নস্পম্পর্ন এ রাজী হচ্ছিলো না। যারা জানেন না, তাদের অবগতির কারণে জানিয়ে রাখি, ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে জাপানের ইম্পিরিয়াল বা রাজকীয় সেনাবাহিনীকে প্রায় ৩০ লক্ষ থেকে ১ কোটি মানুষ হত্যার জন্য দায়ী করা হয়। চীন, সিঙ্গাপুর, মালায়, হংকং সহ সর্বত্র তাদের হাতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়। জার্মানীর নাৎসিদের আক্রোশ ছিল ইহুদীদের ওপর, এ কারণে তাদের গণহত্যার দিকে বিশ্ববাসীর নজর ছিল বেশি। কিন্তু জাপান এর কোন ধর্মীয় বা বর্ন বা গোত্রীয় বাছ বিচার ছিল না। তারা নানা কারণে গণহত্যা চালায়, এলাকা দখল থেকে শুরু করে সামান্য সম্মানের প্রশ্নে।
দিনে দিনে জাপানিজ ইম্পিরিয়াল আর্মির অবস্থা এতোটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষাংশে প্যাসিফিক যুদ্ধ ঘটে। আমেরিকা, চীন এবং ইংল্যান্ড এর যৌথ উদ্যোগে জাপানের ওপর আক্রমণ করা হয় তাদের এই ম্যাসিভ কিলিং এর হাত থেকে পার্শবরতী দেশগুলোকে রক্ষা করার জন্য। এবং যখন জাপান শেষ পর্যন্ত কিছুতেই আত্নসম্পর্ন করতে রাজি হয়না, ঠিক সেসময়েই ম্যানহ্যাটন প্রজেক্ট সাফল্যের মুখ দেখে। ম্যানহাটন প্রজেক্ট ছিল আমেরিকার নিউক্লিয়ার ওয়েপন রিসার্চ প্রজেক্ট, ১৯৪২ সালে ওপেনহাইমার এর নেতৃত্বে এই প্রজেক্ট শুরু হয়। ১৯৪৫ সালের আগস্টে ম্যানহ্যাটন প্রজেক্ট প্রথম সফল পরীক্ষা চালায়। এবং এরপরই এনোলো-গে নামের বোয়িং বি-২৯ সুপার ফোর্টেস বিমানে করে হিরোশিমায় বোমা ফেলে আমেরিকা। নিজেদের অন্যতম একটা প্রগ্রেসিভ শহর চুরমার হয়ে যেতে দেখেও জাপান আত্নসম্পর্ন এ রাজী হয়নি। ফলে তিন দিনের মাথায় নাগাসাকিতে আবারও বোম্বিং করে আমেরিকা। এরপরই আত্নসম্পর্ন করে জাপান।
জাপানে চালানো পারমানবিক বোমাহামলা অবশ্যই একটা খারাপ ঘটনা , কিন্তু জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালের কর্মকান্ড সম্পর্কে যদি একটু পড়াশোনা করেন, তাহলে খারাপ লাগা অনেক কমে যাবে।
আসল কথা থেকে অনেক দূরে চলে এলাম। ভারত যদি সে সময় পারমানবিক অস্ত্র তৈরি এবং টেস্ট না করতো, তাহলে ভালো চান্স ছিল, এখন মাদ্রাজে চিকিৎসা করতে যাওয়া বাংলাদেশীরা সেখানে বিজান প্রান্তর আর ধুসর ভূমি ছারা কিছুই পেতেন না। তাছাড়া পাকিস্তান এর আগ্রাসী আচরণ এর উদাহরণ পাওয়া যায় তার ঠিক পরের বছরই কার্গিল যুদ্ধে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের সমর্থিত কাশ্মীরি মুক্তিকামী গেরিলারা ভারতের সীমান্তের ভেতরে অবস্থান নেয়। পরে ভারতের এয়ারফোর্সের সাহায়তায় ভরতের সেনাবাহিনী কার্গিল এর নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২ হাজারেরও বেশি মৃতু্য ঘটে কার্গিল যুদ্ধে।
আর নদীর দিক পরিবর্তন নিয়ে উনার যে প্লান এর কথা সবাই বলছে, সহজ কথা। এখন যদি আপনাকে কেউ বলে যে এমন একটা প্লান বানাতে হবে যাতে বাংলাদেশে অক্সিজেন সরবরাহ সব সময় নিশ্চিত থাকে, আপনি কি করবেন?
আপনাকে প্লান বানাতে বলছে, সেটা কাজে লাগানো না লাগানো সরকারের দ্বায়িত্ব। সেই প্লান যদি ভারত বা মায়ানমার এর কোন সমস্যা হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করার দ্বায়িত্ব স্ব স্ব দেশের সরকারের। আন্তর্জাতিক আদালত আছে, জাতিসংঘ আছে। যদি প্রপার কূটনৈতিক রাস্তা এবং ক্ষমতা ব্যবহার করতে কোন দেশ না পারে, সেটা তাদের ব্যার্থতা।
আব্দুল কালাম কে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো একটা প্লান বানানোর। তিনি এখন ভারতীয় নাগরিক, তিনি স্বাভাবিক ভাবে ভারতের স্বার্থটাই দেখবেন। আমার ঘাড়ে বাংলাদেশ সরকার একিই দ্বায়িত্ব দিলে আমি বাংলাদেশের স্বার্থটাই দেখতাম। সেটাই স্বাভাবিক। বরং না দেখলেই আমার দেশের প্রতি ডেডিকেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠতো। ভারত সরকার প্লান চেয়েছে, উনি দিয়েছেন। সেই প্লান যদি বাস্তবায়িত হত, সেটা বাংলাদেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের ব্যার্থতা। এ নিয়ে উনাকে দায়ী করার কোন স্কোপ নেই।
আরও অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল, হাত ব্যাথা করতে শুরু করেছে। ফয়সাল শোভন এ ব্যাপারে একটা বিশদ নোট লিখেছেন, পড়ে দেখতে পারেন।